Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

BIOS system এর সম্পূর্ণ তথ্য একটিমাত্র ব্লগে।

বর্তমানে মানুষ যেমন কম্পিউটারকে ছাড়া এক মুহূর্ত চলতে পারেনা তেমনি কম্পিউটারও এক পা চলতে পারেনা BIOS ছাড়া। BIOS এর পুরো নাম হচ্ছে (Basic Input Output System)
                     চলুন দেখা যাক BIOS কি ?

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অন করার সাথে সাথেই সর্বপ্রথমে যে সফটওয়্যার রান করে সেটি হচ্ছে BIOS বা Basic Input Output System। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অন করার সাথে সাথে মাইক্রোপ্রসেসর দেখতে চাই যে তার সমস্ত  Hardwares Part যেমন মাউস, কিবোর্ড, প্রিন্টার, ইউএসবি পোর্ট, জয় স্টিক ইত্যাদি সঠিকভাবে সিগনাল বা কাজ করতে পারছে কিনা। কিন্তু একটিমাত্র প্রসেসর যদি এত কিছু দেখতে যেত তাহলে কম্পিউটার ওপেনিং সিস্টেম অনেক বেশি দীর্ঘস্থায়ী হত। এইজন্য এই সমস্ত কাজের ভার দেওয়া হয়েছে BIOS এর উপর। তাই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অন করার সাথে সাথে সর্বপ্রথমে এই সফটওয়্যার রান করে এবং সমস্ত হার্ডওয়্যার কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করে। সমস্ত হার্ডওয়্যার যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে BIOS মাইক্রোপ্রসেসর কে একটি বিপ আওয়াজ করে সিগনাল দেয় , যদি আপনারা নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন। আর যদি সমস্তত হার্ডওয়্যার সঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে এটি মাইক্রোপ্রসেসর কে একটানা বিপ বিপ আকারে আওয়াজ পাঠিয়ে সিগন্যাল দিতে থাকে। ফলে মাইক্রোপ্রসেসর  ROM থেকে অপারেটিং সিস্টেম ওপেন করে না। ফলে আমাদের কম্পিউটার ওপেন হয় না।
 (সমাধান :- কম্পিউটার ওপেন করার সময় যদি একটানা বিপ বিপ করে শব্দ শোনা যায় তাহলে বুঝতে হবে কোন একটি হার্ডওয়্যার সঠিকভাবে কাজ করতে পারছেনা সেটি হতে পারে ROM অথবা অন্য যেকোনো হার্ডওয়্যারএর সমস্যা। তখন ROM টিকে সঠিকভাবে সাবধানতা র সঙ্গে মাদারবোর্ড থেকে খুলে নিয়ে রবার্ট দিয়ে ভালোভাবে ঘ্ষে পুনরায় মাদারবোর্ডে  লাগাতে হয়। এবং সমস্ত USB কেবিল সঠিক ভাবে লাগানো আছে কিনা চেক করতে হয়। এরপর আবারও পুনরায় কম্পিউটার ওপেন করলে সেটি সঠিকভবে ওপেন হয়ে যায় কোন রকম সমস্যা ছাড়াই।)
                
              চলুন দেখা যাক BIOS এর অবস্থান

BIOS মাদারবোর্ড এর মধ্যে অবস্থান করে। মাদারবোর্ড এর CMOS battery এর নিকট একটি চিপের মধ্যে এই BIOS সফটওয়্যার ইনস্টল থাকে। এটি সাধারণত non-volatile প্রকৃতির EEP-ROM।
  
            চলুন আবারো দেখা যাক BIOS কাজগুলো এক নজরে
  
    
A. কম্পিউটার চালু করার সাথে সাথে সমস্তত হার্ডওয়ারের সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা সেটি চেক করা।
B. সঠিকভাবে হার্ডওয়ার গুলি কার্যকরী না হলে বিফ আওয়াজে ইউজারকে সংকেত দেওয়া।
C. বায়োস কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যায় আপনাকে ডিসপ্লে এবং সিস্টেম স্পিকারের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে। যেমন- কম্পিউটার চালু হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অপারেটিং সিস্টেম না পেলে Boot Failure মেসেজ দিবে। বা র‌্যাম না থাকলেও স্পিকারের মাধ্যমে বিপ দিবে।

(চলুন দেখা যাক বিভিন্ন বিপের সংকেত গুলি আমাদের কি বুঝাতে চায়
1. বায়োস 1 টি  শর্ট বিপ সিস্টেমের সঠিক ভাবে চালু হওয়া।
2. 2 টি স্বল্প বীপ CMOS এর ত্রুটি ।
3. 1 লম্বা বীপ এবং 1 শর্ট বিপ: মেমরি ত্রুটি।
4. 1 লম্বা বীপ এবং 2 শর্ট বিপ: গ্রাফিক কার্ড ত্রুটি ।
5. 1 লম্বা বীপ এবং 3 শর্ট বিপ এজিপি ত্রুটি ।
6. 1 লম্বা বিপ এবং 9 শর্ট বিপ : মেমরি ত্রুটি ।
7. অবিচ্ছিন্ন দীর্ঘ বিপ মেমরি সঠিকভাবে ইনস্টল করা হয়নি ।
8. নিরন্তর শর্ট বিপ পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ব্যর্থ হয়েছে ।
9.   4 টি সংক্ষিপ্ত বীপ রিয়েল টাইম ক্লক ত্রুটি।
10. 5 সংক্ষিপ্ত বীপ সিপিইউ ত্রুটি ।
11. 6 শর্ট বিপ: কীবোর্ড ত্রুটি।
12. 7 শর্ট বীপ সিপিইউ বাধা ত্রুটি।
13. 8 টি সংক্ষিপ্ত বীপ: গ্রাফিক কার্ড ত্রুটি।
14. 9 শর্ট বিপ: স্মৃতি ত্রুটি ।
15. 10 ​​শর্ট বিপ সিএমওএস ত্রুটি ।
16. 11 শর্ট বিপ: সিপিইউ ক্যাশে মেমরি ত্রুটি। ...ইত্যাদি)

D.  COMS BATTERY(Complementary metal–oxide–semiconductor) এর সহায়তায় BIOS কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সিস্টেমের date and time update রাখতে সাহায্য করে।

চলুন দেখা যাক BIOS কিভাবে অ্যাক্সেস করা যায়

যখন আপনার কম্পিউটার স্টার্ট হয়, একেবারে নির্ভুল ভাবে বলতে গেলে যখন আপনার মাদারবোর্ডের চিত্র সংবলিত স্ক্রিনটি ফুটে ওঠে অথবা পুরানো পিসি গুলোর ক্ষেত্রে যখন DOS (ডস) স্ক্রিনটি ফুটে ওঠে তখন কম্পিউটারের Delete key টি চেপে ধরে রাখলেই BIOS এ এক্সেস পাওয়া যায়। কিছু কিছু ব্রান্ড এর মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে এটা কাজ নাও করতে পারে কিন্তু যাইহোক ওখানে বলেই দেওয়া থাকবে যে BIOS এক্সেস করার জন্যে কোন সুইচটি চেপে ধরা লাগবে। এই স্ক্রিনটাই আমাদের কম্পিউটারের BIOS এক্সেস করার একমাত্র উপায়।  

(চলুন দেখা যাক কিছু BIOS কোম্পানির তাদের BIOS system access করার জন্য দেওয়া key গুলি
  • Acer: F2 or DEL
  • ASUS: F2 or Del
  • Dell: F2 or F12
  • HP: ESC or F10
  • Lenovo: F2 or Fn + F2
  • Lenovo Desktops: F1
  • Lenovo ThinkPads: Enter + F1.
  • MSI: DEL for motherboards and PCs
  • Microsoft Surface Tablets: Press and hold the volume-up button.
  • Origin PC: F2
  • Samsung: F2
  • Sony: F1, F2, or F3
  • Toshiba: F2)

 

চলুন দেখা যাক BIOS অ্যাক্সেস করে কি কি করা যেতে পারে
1. আমরা সাধারণত কম্পিউটার বা ল্যাপটপে যে সমস্তত  পাসওয়ার্ড  দি ই  কেউ যাতে আমাদের কম্পিউটারে ল্যাপটপে প্রবেশ না করতে পারে সিটি সাধারণত অপারেটিংং সিস্টেম এর পাসওয়ার্ড BIOS  এর মাধ্যমে মূল কম্পিউটার বা ল্যাপটপের পাসওয়ার্ডড দেওয়া যেতে পারে। যাতে  পরবর্তী কালে অপারেটিংং সিস্টেম চেঞ্জ করলেও কম্পিউটারের মূল পাসওয়ার্ডড চেঞ্জ হয়না।
2. ফ্যান স্পিড, ভোল্টেজ এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
3. BIOS এর মাধ্যমে কম্পিউটারের বুটিং প্রসেস কে ফাস্ট করা যায়।
4. স্টোরেজ পার্টিশন দেওয়া যায়
5. প্রাইমারি স্টোরেজ সিলেক্ট ইত্যাাদি কাজ করা যায়।


এসব কারণের জন্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সিস্টেমে বায়োস এর ভূমিকা অপরিহার্য এটি ছাড়া কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সিস্টেম অন ই হয় না।

আশা করি আপনারা আমার এই ব্লগের মাধ্যমে সম্পূর্ণ  BIOS সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। আরো কিছু জানার জন্য নির্দ্বিধায় কমেন্ট করুন।
 
                                    ধন্যবাদ

Post a Comment

0 Comments