বর্তমানে গুগলের পর, পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে ইউটিউব। ভিডিও জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভবিষ্যতে হয়ত ইউটিউবই হয়ে উঠবে পৃথিবীর বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন। ভিডিওর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য ইউটিউব প্রতিনিয়ত পাচ্ছে নতুন ইউটিউবার বা ক্রিয়েটর। তাই ইউটিউবে প্রতিযোগিতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণেই ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করে তাকে দাঁড় করানোর জন্য চাই প্রচুর পরিশ্রম, হার্ডওয়ার্ক, শুধু পরিশ্রম করলেই হবে না এর সাথে স্মার্ট ভাবে ও কাজ করতে হবে।।
অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা কম্পিউটারে সাহায্যে ইউটিউব চ্যানেল খোলার এবং পরিচালন করার সঠিক পদ্ধতি বা নিয়ম ।
A) ইউটিউব চ্যানেল খোলার সঠিক নিয়ম :
1. ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকা অত্যধিক আবশ্যক।
2.প্লে স্টোর থেকে ইউটিউব অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করার পর সেটিকে জিমেইল একাউন্ট দিয়ে সাইন ইন (sign in) করে নিতে হবে।
ইউনিক নাম একটি চ্যানেলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ????
এই স্টেপ গুলি ফলো করার মাধ্যমেই একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হবে ।।
B) ইউটিউব এর সাফল্য পাওয়ার গোপন চাবিকাঠি:
ইউটিউবে আমরা অনেকেই আসি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ভিডিওতে অ্যাড দেখিয়ে টাকা উপার্জন করার জন্য। কিন্তু ইউটিউবে মনিটাইজেশন (monetization) অন করার জন্য দরকার 1000 জন Subscriber এবং 4000 ঘন্টা watchtime অর্থাৎ 4000×60 =240000 মিনিট ওয়াচ টাইম।
1000 জন সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম কমপ্লিট করার জন্য দরকার প্রয়োজন :
- প্রচুর পরিমাণে ধৈর্য।
- নিয়মিতভাবে ভিডিও আপলোড করার মানসিকতা।
- ইউনিক কনটেন্ট।
- এসইওর সঠিক নলেজ।
- নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে সঠিকভাবে কাজ করা।
C) ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই (VERIFY) :
ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার পদ্ধতি :
- প্রথমে ক্রোম ব্রাউজার টি ওপেন করে নিতে হবে।
- ফোনে সাহায্য ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করতে হলে প্লে স্টোর থেকে ক্রোম ব্রাউজার টি ইন্সটল করার পর সেটিকে ডেক্সটপ সাইডে ওপেন করতে হবে। এরপর কম্পিউটার বা ল্যাপটপে যেরাম ভাবে কাজ হয় ঠিক সেই রকম ভাবে এখানেও কাজ হবে।
- ক্রোম ব্রাউজার টি ওপেন করার পর যে জিমেইল একাউন্টে ইউটিউব চ্যানেলটি আছে সেই জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে ক্রোম ব্রাউজারে লগইন করে নিতে হবে।
- লগইন করার পর ক্রোম ব্রাউজারের ডানদিকে ওপরের কোনায় চ্যানেলের আইকনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর সেটিংস অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- সেটিংস এ যাওয়ার পর সেখান থেকে একাউন্ট অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।
- অ্যাকাউন্ট থেকে channel status and features অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- সেখানে একটি পপ-আপ ফিলাপ করতে হবে এবং সেখানে ফোন নাম্বার দিতে হবে।
- ফোন নাম্বারটি দিবার পর সেই ফোন নাম্বার একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে
- এই ভেরিফিকেশন কোড দুইভাবে পাঠানো হয়ে থাকে একটা টেক্সট মেসেজ আরেকটি হচ্ছে ফোন কলের মাধ্যমে। এখান থেকে যে কোন একটি সিলেক্ট করলেই হবে
- ভেরিফিকেশন কোড আসার পর সেই কোডটি এন্টার করলে চ্যানেলটি ভেরিফাইড হয়ে যাবে।
D) ইউটিউব চ্যানেল ম্যানেজ করতে ইউটিউব স্টুডিও র ভূমিকা :
- যারা ফোনে র সাহায্যে ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করেন তাদের কাছে ইউটিউব স্টুডিও অ্যাপ টি খুবই কার্যকরী। ইউটিউব স্টুডিও অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ফোনে র সাহায্য ইউটিউব চ্যানেল কে খুবই সুন্দর ভাবে পরিচালনা করা।
- ইউটিউব স্টুডিও (YouTube Studio) অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে কি কি করা যায় ?
- Real-time সাবস্ক্রাইব সংখ্যা কাউন্ট এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে দেখা যায়।
- Real-time ভিউজ দেখা যায় চ্যানেলের যেকোন ভিডিওতে।
- রিয়েল টাইম ওয়াচ টাইম দেখা যায় কোন ভিডিও।
- ভিডিওতে আসা কমেন্ট গুলি ম্যানেজ করা যায়।
- ভিডিওতে কাস্টম থাম্বেল অ্যাড করা যায়।
- ভিডিওর টাইটেল, ট্রাগ ,ডেসক্রিপশন যেকোনো সময়ে এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে চেঞ্জ করা যায়।
- ভিডিও র লাইক কমেন্ট ইত্যাদি হাইড করা যায় এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে।
- যেকোনো সময়ের কোন ভিডিওর real-time ভিউজ ওয়াচ টাইম দেখা যায়।
- কোন একটি ভিডিওকে সম্পূর্ণ এনালাইজ করা যায় এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে।
- কোন দেশে ভিডিওটি দেখা হচ্ছে সেটা জানা যায়
- কত বছর বয়সের ভিউয়ার্স রা ভিডিওটি দেখছে তা জানা যায়।
- ইউটিউব সার্চ এ ভিডিও টি কত শতাংশ rank করেছে তা জানা যায়
- Impression click touch rate জানা যায়।
- কোন ভিডিও এই ভিডিওটিকে কতটা সাজেস্ট করছে তা জানা যায়।
- Traffic source সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় এই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার মাধ্যমে।
0 Comments